সকালে খালি পেটে কিভাবে নিমপাতা খাবেন বিস্তারিত প্রক্রিয়া

সকালে খালি পেটে কিভাবে নিম পাতা খাবেন বিস্তারিত প্রক্রিয়া চলুন জেনে নেয়া যাক। নিম পাতার আসল উপকারিতা পেতে হলে আপনার অবশ্যই এই বিষয়গুলা জানা দরকার। তাহলে চলুন সকালে খালি পেটে কিভাবে নিম পাতা খাবেন বিস্তারিত প্রক্রিয়া সমূহ জেনে নেই। 

আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধন এছাড়া বিষাক্ত উপাদান দূর করার জন্য সকালে খালি পেটে নিমপাতা খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধ করার জন্য 5000 বছর ধরে নিমপাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। 

পোস্ট সূচিপত্র: সকালে খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার বিস্তারিত প্রক্রিয়া

সকালে খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার উপায়

সকালে খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার উপায় গুলো চলুন জেনে নেয়া যাক। আপনি যদি সকালে খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে হজমের সমস্যা থেকে শুরু করে পেটের বিভিন্ন সমস্যা এছাড়াও রক্ত পরিষ্কার করার জন্য অনেক সাহায্য করবে এই ঔষধি গুন সম্পন্ন নিমপাতা। এছাড়াও নিম একটি ঔষধি উদ্ভিদ। এর ডাল থেকে শুরু করে পাতা এবং রস সবই ঔষধের মতো কাজ করে। এছাড়া আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। 

প্রতিদিন সকালে নিমপাতার রস তৈরি করার জন্য আপনি নিমের পাতা ১০-১৫ টি ডাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ভালোভাবে ধুয়ে ব্লেন্ড করার পর সেই রস খেতে পারেন। নিমপাতা যদি তিতার জন্য খেতে না পারেন তাহলে নিম পাতার রস মধু দিয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রে জানা গেছে সকালে খালি পেটে নিম পাতা সেবন করলে আপনি অনেক বেশি উপকারিতা পাবেন। নিম পাতা খাওয়ার সময় অবশ্যই সঠিক নিয়ম এবং সঠিক সময়ে সেবন করতে হবে তাহলেই আপনি নিমপাতা থেকে সঠিক উপকার পাবেন

সকালে খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার জন্য এটি আমাদের শরীরের হৃদপিণ্ড এবং লিভারকে সুস্থ রাখে।এছাড়াও সকালে খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে শারীরিক বিভিন্ন রকম রোগ এবং অসুস্থতা দূর করতে অনেক সাহায্য করে থাকে। তাই সকালে খালি পেটে কিভাবে নিম পাতা খাবেন বিস্তারিত প্রক্রিয়া আমাদের সকলেরই অবশ্যই জানা উচিত। 

নিম পাতার ১০টি রোগের নিরাময় সমূহ

নিম পাতার ১০ টি রোগের নিরাময় সমূহ চলুন বিস্তারিত জেনে নেই। অনেকেই আমরা নিম পাতার কার্যকারিতা সম্পর্কে না জানার কারণে নিমপাতা খেতে আগ্রহ প্রকাশ করিনা, নিম পাতার আসল কার্যকারিতা আমরা সকলেই জানতে পারলে তখন বিভিন্ন রোগের নিরাময় সমূহ দূর করতে আপনি অবশ্যই নিমপাতা খাওয়া শুরু করবেন। 

  • চুলকানি বা খোস পাচড়া দূর করতে
  • কৃমি দূর করতে
  • ত্বকের বিভিন্ন উপকারিতা পেতে
  • দাঁতের রোগ দূর করতে
  • উকুন দূর করতে
  • চর্মরোগ বা খুশকি দূর করতে 
  • ভাইরাস রোগসমূহ দূর করতে
  • বাত এর সমস্যা দূর করতে
  • ব্রণ এর সমস্যা দূর করতে
  • ছত্রাক বা বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করতে
চুলকানি বা খোস  পাচড়া দূর করতেঃ আপনার যদি শরীরে কোন রকম খোশ পাচড়া বা চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে নিমপাতা সিদ্ধ করে ঐ জল দিয়ে স্নান করলে খোশ পাচড়া বা চুলকানি চলে যাবে। নিম পাতা গুড়া করার পরে সরিষার তেলের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলকানিতে লাগালে ওষুধের মত কাজ করবে। এছাড়াও কাঁচা হলুদ আর নিমপাতা সিদ্ধ করে চুলকানিতে লাগালে ৭ থেকে ১০ দিন নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলকানি বা খোস পাচড়া দূর হবে। 

কৃমি দূর করতেঃ সাধারণত শিশুরা কৃমিতে আক্রান্ত হয় সবথেকে বেশি। কৃমিতে আক্রান্ত হলে শিশুদের চেহারা ফ্যাকাসে  হতে থাকে এবং শরীর রোগা হতে শুরু করে। কৃমি উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে ৫০ থেকে ৬০ মিলিগ্রাম নিম গাছের মূলের ছালের গুড়া দিনে ৩ বার সামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে সেবন করতে হবে। এভাবে টানা এক সপ্তাহ সেবন করলে কৃমি আক্রান্ত সমস্যা দূর হবে। 

ত্বকের বিভিন্ন উপকারিতা পেতেঃ ত্বকের সুরক্ষায় এবং ত্বকের বিভিন্ন উপকারিতা পেতে নিম পাতার ব্যবহার করা জুরি মেলা ভার। সাধারণত যাদের শরীরে স্কিনের বিভিন্ন সমস্যা বা চর্মরোগ জাতীয় চুলকানি সমস্যা তারা নিমপাতা গরম পানি দিয়ে সিদ্ধ করে গোসল করার এটা ব্যবহার করলে ত্বকের এই সমস্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। নিমপাতা সাধারণত আমাদের ত্বকে ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে থাকে। এছাড়াও নিমপাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া জাতীয় সমস্যা দূর করতে সব থেকে বেশি সাহায্য করে থাকে। 

দাঁতের রোগ দূর করতেঃ দাঁতের সুস্থতার জন্য এবং দাঁতের রোগ দূর করতে প্রাচীনকাল থেকেই নিম পাতার ব্যবহারের প্রচলন চলে আসছে। নিম পাতার কচি ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের মাড়ি শক্ত এবং মজবুত হয়। দাঁতের রোগ দূর করার জন্য নিমপাতা সিদ্ধ করে বেঁটে ৩০ ফোটা রস উষ্ণ গরম জলে ভালোভাবে মিশিয়ে দেওয়ার পর দিনে চার থেকে পাঁচবার খেলে দাঁতের মাড়ির ব্যথা, দাঁতের রক্তপাত এবং দাঁতের পচন এর সমস্যা উপশম ঘটে। 

উকুন দূর করতেঃ উকুন দূর করার জন্য নিম পাতা পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে রেখে দিন। তারপর গোসল করার আগে মাথায় শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন, তারপর চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ান। এভাবে সপ্তাহে ৩-৪ বার এবং ১-২ মাস ব্যবহার করুন তাহলে উকুন দূর হবে। 

চর্মরোগ বা খুশকি দূর করতেঃ চর্মরোগ এবং খুশকি দূর করার জন্য নিম পাতায় থাকা ছত্রাক নাশক উপাদান এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান এর ফলে চর্মরোগ বা খুশকি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। পাঁচ কাপ পরিমাণ জলে এক থেকে দুই মুঠো মিমের পাতা দিয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত না জলটা সবুজ বর্ণ ধারণ করে ততক্ষণ পর্যন্ত জল গরম করতে হবে। এবং এভাবে যতদিন পর্যন্ত না আপনার মাথার খুশকি দূর হবে ঠিক ততদিন পর্যন্ত সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার নিম পাতার জল কন্ডিশনার এর মত ব্যবহার করুন। এভাবে একটানা ব্যবহার করলে চর্মরোগ বা খুশকির সমস্যা খুব সহজেই দূর হবে। 

ভাইরাস রোগসমূহ দূর করতেঃ  ভাইরাস রোগসমূহ দূর করার জন্য প্রাচীনকাল থেকেই নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। আপনার শরীরে যদি ভাইরাস জাতীয় চর্মরোগ, হাম এবং চিকেন পক্স হয় তাহলে নিম পাতা বাটা শরীরে লাগালে এই ভাইরাস রোগসমূহের নিরাময় ঘটবে। এছাড়াও ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি দূর করতে নিম পাতার জল দিয়ে সঠিকভাবে নিয়ম মেনে স্নান করলে এই সকল ভাইরাস জাতীয় সমস্যার উপশম ঘটবে। 

বাত এর সমস্যা দূর করতেঃ বাত এর সমস্যা দূর করতে নিমপাতা সিদ্ধ করে তেল তৈরি করে সেই তেল ম্যাসাজ করে ব্যবহার করার মাধ্যমে বাত এর সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিমপাতা দিয়ে তৈরিকৃত তেল বাতের সমস্যা দূর করতে ওষুধের মত কাজ করে। 

ব্রণ এর সমস্যা দূর করতেঃ ব্রণের সমস্যা দূর করতে নিম পাতা গুঁড়ো করে মিশ্রণ তৈরি করে ফেস ওয়াশের মত মুখে লাগালে ব্রণ দূর হবে, এবং সেই স্থানে যদি জ্বালাপোড়া করে তাহলে এই মিশ্রণ লাগানোর পরে সেই ব্যথাও দূর হবে। এভাবে একটানা ব্যবহার করতে থাকলে ব্রণের সমস্যা দূর হবে। 

ছত্রাক বা বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করতেঃ ছত্রাক বা বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করতে নিম পাতায় জাদুকরি ছত্রাক নাশক এবং ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান থাকার ফলে নিয়মিত চুলকানিতে বা ক্ষতস্থানে কাঁচা হলুদ এবং নিমপাতা একসাথে মিশ্রণ করে দিনে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলে ছত্রাক বা বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করবে। এভাবে নিয়ম মেনে  নিয়মিত ১ মাস ব্যবহার করলে ছত্রাক বা বিভিন্ন ইনফেকশন জাতীয় সমস্যার উপশম ঘটবে।

কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতার গুণাগুন 

কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতার গুনাগুন যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এখনই জানা উচিত। এছাড়া সকালে খালি পেটে কিভাবে নিম পাতা খাবেন বিস্তারিত প্রক্রিয়া আমরা জেনেছি। হলুদে এক ধরনের কারকিউমিন থাকে যা এসেনসিয়াল তেল নামে পরিচিত। হলুদে যে কারকিউমিন থাকে তা ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন। হলুদ সাধারণত আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম অসুখ যেমন হজম জনিত সমস্যা, বা আলসার জাতীয় শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতার গুনাগুন আপনার শরীরকে শক্তি বাড়াতে সক্ষম। 

আপনি যদি বাড়িতে কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতার গুনাগুনটি মিশ্রণ আকারে খেয়ে থাকেন তাহলে সেটা এক বিস্ময়কর হিসেবে কাজ করবে। ক্যান্সার একটি মরণঘাতী রোগ, এই রোগকে এড়াতে হলে কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতার গুনাগুন মিশ্রণ হিসেবে তৈরি করে খাওয়া উচিত। এই সকল উপাদান গুলো যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও কাঁচা হলুদ এবং নিমপাতার গুনাগুনের মধ্যে পুষ্টি উপাদানগুলো আমাদের শরীরে বা ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। 

নিমপাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নেয়া যাক। সকালে খালি পেটে কিভাবে নিমপাতা খাবেন বিস্তারিত প্রক্রিয়া আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। সাধারণত আমাদের শরীরে বা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ও স্কিন টোন ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত নিম পাতা এবং কাঁচা হলুদ পেস্ট করে মিশ্রণ হিসেবে লাগাতে হবে এতে করে আমাদের স্কিনের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও সকালে খালি পেটে নিমপাতা খেলে বা নিম পাতার ত্বকে ব্যবহার করার জন্য এটা ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে থাকে। নিমপাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন রকম টিপস রয়েছে। 

আপনার ত্বক নিম পাতা দিয়ে ফর্সা করার জন্য অনেকগুলো নিমপাতা একসাথে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে এবং টাটকা বা সতেজ নিম পাতাগুলো সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর নিমপাতাগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে হলুদের সাথে পেস্ট বা মিশ্রণ আকারে তৈরি করুন। এরপর সেটা ব্যবহার উপযোগী হয়ে গেলে দিনে এবং রাতে মুখের ত্বকে বা আপনার সারা শরীরে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। লাগানোর পর সেটা শুকিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর হালকা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, এবং তারপর দেখতে পাবেন আগের থেকে আপনার ত্বকের আপনার কিংবা তবের উজ্জ্বলতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার স্কিন বা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে থাকবে। 

অতিরিক্ত নিমপাতা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

সকালে খালি পেটে কিভাবে নিমপাতা খাবেন সেই সম্পর্কে জেনেছেন। এখন নিমপাতা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানবো। নিম পাতায় যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা বা বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেই ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা উচিত। 
  • নিমপাতা পরিমাণের তুলনায় যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এতে আপনার উপকারের তুলনায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে।
  • প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত নিমপাতা খেয়ে ফেললে আপনার অ্যালার্জি সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে করে আপনার চুলকানিসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। 
  • আপনার যদি নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অতিরিক্ত নিমপাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 
  • যে সকল গর্ভবতী মায়েরা আছেন সন্তানদের দুধ পান করান ঠিক তাদেরকে অতিরিক্ত পরিমাণে নিমপাতা খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। 
  • সাধারণত প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত নিমপাতা ব্যবহার করার ফলে আপনার শরীরে বা ত্বকে  ফুস্কুরি উঠার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার

সকালে খালি পেটে কিভাবে নিমপাতা খাবেন বিস্তারিত প্রক্রিয়া আমরা অনেকক্ষণ আগেই জানতে পেরেছি। এখন চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। চুলকানিতে নিম পাতা ব্যবহার করার সময় আমাদের সকলেরই সঠিকভাবে নিমপাতা ব্যবহার করতে হবে। আপনার শরীরে যদি ছত্রাকের ইনফেকশন প্রবেশ করে, অথবা ভাইরাস জনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়, এছাড়া আপনার সারা শরীরে যদি চর্মরোগ জাতীয় চুলকানির সৃষ্টি হয় তাহলে আপনাকে কিছু উপকরণ আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে বা ব্যবহার করতে হবে। চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার উপকরণ সমূহ ব্যবহার করলে চুলকানি সমস্যা থেকে অবশ্যই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

শুরুতেই অনেকগুলা নিমপাতা একসাথে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে এবং সতেজ নিম পাতাগুলো পরিমিত ভাবে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর নিম পাতাগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে কাঁচা হলুদ এর সাথে ভালোভাবে পেস্ট বা মিশ্রণ আকারে তৈরি করুন। কাঁচা হলুদ এবং নিমপাতার উপকরণটি ভালোভাবে তৈরি হয়ে গেলে আপনার আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন। সাধারণত নিমপাতায় এবং কাঁচা হলুদে চুলকানি নাশক, বা ছত্রাক নাশক, বা ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান রয়েছে। তাই নিয়ম মেনে দিনে ২ থেকে ৩ বার নিয়মিত এই উপকরণটি আপনার শরীরে বা আক্রান্ত স্থানে একটানা ১ মাস ব্যবহার করুন। এভাবে উপকরণটি ১ মাস ব্যবহার করার পর আপনার শরীরে আক্রান্ত স্থানে চুলকানির উপশম ঘটবে। 

নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা

নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন। তার আগে আমরা সকালে খালি পেটে কিভাবে নিম পাতা খাবেন তার বিস্তারিত প্রক্রিয়াটি জেনে গেছি। সাধারণত নিম পাতা রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা পেতে এক টেবিল চামচ সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস ১ থেকে ৩ মাস খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস রোগের উপশম ঘটে। শুধু তাই নয় নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে আপনার ক্লান্তি দূর হবে, হজম শক্তির উন্নতি ঘটবে, বমি বমি ভাব এবং বমির উপশম ঘটবে। 

নিম পাতার রসের বিভিন্ন উপাদান এবং গুণাবলী রয়েছে। এছাড়া জন্ডিস রোগের থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ১ চামচ মধু এবং ২ থেকে ৩ চামচ নিম পাতার রস একসাথে মিশ্রিত করে সকালে খালি পেটে খেলে এই জন্ডিস রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিম পাতার রস খেলে আপনার কাশি কমে যাবে।এছাড়াও নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে আপনার ত্বক এর পুনরুজ্জীবিত ঘটবে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় কোন কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া বা সেবন করা স্বাস্থ্যকর নয়, তাই সবকিছুই অতিরিক্ত না সেবন করে প্রয়োজন মত সেবন করতে হবে। 

লেখকের শেষ মন্তব্য

সকালে খালি পেটে কিভাবে নিম পাতা খাবেন বিস্তারিত প্রক্রিয়া সহ, নিমপাতার ১০টি রোগের নিরাময় সমূহ, নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, কাঁচা হলুদ এবং নিমপাতার গুনাগুন, চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার, এছাড়া অতিরিক্ত নিমপাতা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে বিস্তারিত জেনে গেছেন। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ এবং আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং এতক্ষণ পাশে থাকার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url